বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর পার হয়েছে এক সপ্তাহ। এ সময়ে পেশাগত, প্রেমঘটিত কারণ ছাড়াও তার আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে একঝাঁক প্রশ্ন উঠেছে। তবে জানা গেছে, ৩৪ বছরের এই তরুণ সুপারস্টারের আর্থিক অবস্থা বেশ ভালোই ছিল।
আর্থিক সংকটকে ঘিরে সমস্ত খবর গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সুশান্তর ম্যানেজার শ্রুতি। তিনি জানান, কোনো রকম আর্থিক সংকটের মধ্যে ছিলেন না তিনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুশান্তর ম্যানেজার জানিয়েছেন, আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল সুশান্তের। এই বলিউড তারকার মাসিক খরচ ছিল অন্তত ১০ লাখ রুপি।
শ্রুতি আরও জানিয়েছেন, সুশান্ত বান্দ্রায় যে বাসায় থাকতেন, তার ভাড়া সাড়ে ৪ লাখ রুপি। শুধু তা–ই নয়, পুনে পাবনা বাঁধের পাশে এই বলিউড তারকা একটা ফার্ম হাউসও ভাড়া নিয়েছিলেন। সুশান্তের কয়েকটি বিদেশি গাড়ি ছিল বলে জানান তিনি।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুশান্তর ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা শ্রুতি জানান, চারটি নতুন ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছিলেন সুশান্ত। এ ছাড়া সামাজিক কাজ, জ্যোতির্বিদ্যা এবং অভিনয় শেখানো সংক্রান্ত নানান কাজে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভিভিড রেড রিয়ালিস্টিক’ নামক এক কোম্পানি খুলেছিলেন সুশান্ত। এটা এই বলিউড সুপারস্টারের ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির প্রোজেক্ট ছিল। এ ছাড়া সুশান্ত ‘নেশন ইন্ডিয়া ফর ওয়ার্ল্ড’ (এনআইএফডব্লু) নামের এক প্রজেক্টের ওপরও কাজ করছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি নাসা এবং ইজরো–সম্পর্কিত নানান তথ্য সংগ্রহ করতেন। জ্যোতির্বিদ্যার ওপর সুশান্তের প্রবল আগ্রহ ছিল।
সুশান্ত প্রতি ছবিতে পাঁচ কোটি থেকে সাত কোটি রুপি নিতেন। এ ছাড়া তার হাতে একাধিক বিজ্ঞাপনও ছিল। একটা বিজ্ঞাপনের জন্য ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিতেন তিনি।
আরও জানা গেছে, সুশান্তের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ কোটি রুপির বেশি। গাড়ির শখ ছিল এই তরুণ সুপারস্টারের। একাধিক দামি গাড়ি এবং মোটরসাইকেল ছিল সুশান্তর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়, বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ গত রোববার (১৪ জুন) তার বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরই মাঝে মুম্বাইয়ের ড. আরএন কুপার মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে হয়েছে তার ময়নাতদন্ত। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়েছে।