নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মোহাম্মদপুরে চারটি রোড লকডাউন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এলাকাটিতে ছয়জন কোরোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন লকডাউন করা হয়েছে এলাকার ৫৭টি ওয়ার্ড ।
মোহাম্মদপুরের সড়কগুলো হলো- রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের কিছু অংশ, তাজমহল রোডের ২০ নং সিরিয়াল রোড এবং বসিলার পশ্চিম অংশ। এসব রোডের বাসিন্দাদের কাউকে বাসা থেকে বের হওয়া এবং এসব রোডে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম গণমাধ্যমকে জানান, মোহাম্মদপুরে এই চারটি রোডে ছয়জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই রোডগুলো লকডাউন করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং পোশাক শ্রমিকদের বাইরে ঘোরাফেরার কারণে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৫৭টি ওয়ার্ড লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। পাশাপাশি নগরের উপর দিয়ে যাওয়া দুটি মহাসড়কে ১০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় এবং গাজীপুরবাসীর সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে মহানগরে লকডাউন জারি করেছেন তিনি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউন চলাকালীন সময় কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। নগরে কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি যাতে গাজীপুর দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে ১০টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্য কোনো জেলা থেকে গাজীপুরেও যেনো কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে তা ওই সব চেকপোস্টে তল্লাশি করা হচ্ছে।