শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও জুনে চলে যায় কীভাবে, প্রশ্ন রিজভীর ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা সিঙ্গাপুর-যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ২ কার্গো এলএনজি, ব্যয় ১৩৬৬ কোটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান ড. ইউনূসের ২০২৬ বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে যা জানালেন আর্জেন্টাইন কোচ মহাসড়কে অটোরিকশা উঠলেই ব্যবস্থা, ছিনতাইয়ে জিরো টলারেন্স ঈদের ছুটিতে ঢাকাবাসী নিরাপদ থাকবেন: স্বরাষ্ট্র সচিব গাজায় হঠাৎ হামাসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা করবে চীনা এক্সিম ব্যাংক

শয়তানের শহর

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

আমিনুল ইসলাম : ডিজেভোলজা ভারুস সার্বিয়ার রদন পর্বতে অবস্থিত রহস্যময় একটি জায়গা। এখানে দুটি উপত্যকা রয়েছে। উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার। মজার ব্যাপার হলো, প্রতিটি উপত্যকায় আবার টুপি পরানো। যেগুলো মাটি দিয়ে তৈরি। এই টুপিগুলো স্তম্ভের চেয়েও বড়। স্থানীয়দের মতে উপত্যকা দুটির একটি ‘শয়তানের উপত্যকা’ এবং অন্যটি ‘অভিশপ্ত উপত্যকা’। দুটি উপত্যকাকে একসঙ্গে ‘শয়তানের শহর’ বলা হয়।

ডিজেভোলজা ভারুস (শয়তানের শহর) রদন পর্বতের দক্ষিণ দিকে কুরসুমলিজা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জেবাইচ এবং ডেক গ্রামে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৬৬০-৭০০ মিটার। সেখানে দুটি বিরল ধরনের ঝরনা দেখা যায়। প্রথমটা ডিজেভোলজা উপত্যকা থেকে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহিত পানি ‘শয়তানের পানি’ নামে পরিচিত। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। এখানকার পানিতে অতিরিক্ত পরিমাণে এসিড রয়েছে।

অন্য ঝরনা থেকে প্রবাহমান পানি স্বাভাবিক। এই পানির ধারা বসন্তকালে এলাকার চারদিকে দেখা যায়। শয়তানের শহর হিসেবে পরিচিত ডিজেভোলজা ভারুসে ২টি রহস্যময় খনিজ পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল যা পুরাতন গির্জার ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হয়। এই স্থানটি নিয়ে অনেক শিউরে ওঠার মতো ভূতুড়ে গল্প প্রচলিত আছে।

ডিজেভোলজা ভারুসের গঠন প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে এখনো জানা যায়নি। প্রতিদিন পাথরের স্তম্ভগুলো ভেঙে পড়ে। আবার দেখা যায় হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায় জায়গাটি। দেখলে মনে হবে কোনো এক অদ্ভুত রহস্যময় কিছু এখানে কাজ করছে।

ডিজেভোলজা ভারুসের গঠন প্রক্রিয়া এখনো সবার কাছে অজানা। এখানকার ক্ষয়কার্য প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। কিছু স্তম্ভ পড়ে যায় হঠাৎ করে, আবার কখনো আকার পরিবর্তন করে নতুন স্তম্ভ তৈরি হয়। স্থানীয়দের কাছে পৌরাণিক কাহিনী প্রচলিত আছে যে, স্বয়ং শয়তান নাকি এই কাজগুলো করে।

অনেক দিন আগে দুটি ভিন্ন গ্রামের দুটি ছেলে বিয়ে করতে যাচ্ছিল অন্য এক গ্রামে। আশ্চর্যজনকভাবে তাদের দু’পক্ষের বিয়ের পাত্রী ছিল একই মেয়ে। ধারণা করা হয় তাদের এই ব্যাপারটি স্বয়ং তাদের ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। কিন্তু উভয় পক্ষ যখন বুঝতে পারল যে তাদের হবু বধূ একই তখন পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে গড়াতে যাচ্ছিল।

উভয় বরযাত্রীরা একটি সবুজ উঁচু ঢিবিতে একে অন্যের দিকে এগিয়ে এসে মিলিত হয়। কটমট দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিল তারা। কিছুক্ষণ পর তাদের মধ্যে কয়েকজন অস্ত্র বের করল। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তখন ঈশ্বর চাচ্ছিলেন না যে সেখানে রক্তপাত ঘটুক। আর এ জন্য তিনি ঐ দু’দলকে উপত্যকায় রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন যতক্ষণ না কোনো সমাধান বের হয়। কিন্তু ঈশ্বর ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি ভুলে গেলেন। ফলে তারা উপত্যকা হিসেবে রয়ে গেল বছরের পর বছর।

এটিই হলো এলাকাটি নিয়ে প্রচলিত মিথ। এলাকাটি সত্যিই অদ্ভুত! অনেকে একে ‘ড্রাগনের ঘর’ বা ‘ড্রাগনের মাথা’ বলে। সেখানে অদ্ভুত সব তড়িৎচুম্বকীয় ঘটনা ঘটে। ১৯৫০ সালে এই জায়গায় একটা বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এর কারণ এখনো কেউ বের করতে পারেনি।

 

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD