মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা বলেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন অধ্যুষিত এলাকা যদি ইসরায়েল দখল করে তাহলে অশান্তি বাড়বে। এতে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করণের প্রক্রিয়াও ব্যাহত হবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি দৈনিক ইয়োদিয়োথ আহরোনোথে একটি সম্পাদকীয়তে নিজের মতামত তুলে ধরতে গিয়ে এই কথা বলেন আমিরাত রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের সঙ্গে সঙ্গেই আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিরোধিতা বেড়ে যাবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই তালিকায় আছে।
দ্য নিউ আরব নিউজ বলছে, ইউসেফ আল-ওতাইবার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন ডারমারের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক প্রকাশিত তথাকথিত ডিল অব দ্য সেঞ্চুরির বেশ প্রশংশাও তিনি করেছেন। এই চুক্তির কারণেই ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবনা উত্থাপনের পর প্রশংসা করে আল-ওতাইবা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো তৈরির শুরু এটি।
নিউ আরব নিউজ বলছে, বর্তমানে ইসরায়েল-আমিরাত সম্পর্ক বেশ উষ্ণ। উভয় পক্ষই ইরানের সঙ্গে বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টায় আছে। আরব রাষ্ট্রগুলো ও ফিলিস্তিনের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও আমিরাত থেকে সরাসরি ফ্লাইট যাচ্ছে ইসরায়েলে।
তবে এসব ঘটনার কোনোকিছুই প্রতিফলিত হয়নি ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে। তিনি আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের পক্ষপাতী।
এ জন্য ইসরায়েলের প্রতি উপদেশ দিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের পরিকল্পনা পরিহার করুন। এই পদক্ষেপে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে উন্নতি হবে না। তাছাড়া এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন ও ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ভূখণ্ড দখল হলে সহিংসতা বেড়ে যাবে। ‘উগ্রবাদী সন্ত্রাসবাদে’র উত্থান হবে।