কোটালীপাড়া প্রতিনিধি: বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ঘোষিত লকডাউনের কারণে কোটালীপাড়া উপজেলায় আবাদকৃত প্রায় ১০০০ হেক্টর জমির তরমুজ ও বাঙ্গির বাজার বন্ধ হবার উপক্রম দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতা সংকটে বাজারে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেলে চাষীরা চরমভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কোনো কোনো চাষী গোপনে বাইরের জেলা থেকে ক্রেতা ও পরিবহন এনে ভীতসন্ত্রস্তভাবে বিক্রির চেষ্টা চালাতে থাকে,যা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
চাষীদের এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উত্তরণের উদ্দেশ্যে একটা অনলাইনভিত্তিক বাজার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক জনাব শাহিদা সুলতানা এবং সেই মোতাবেক কাজ করেন কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান।
বাজার চালু করতে স্থানীয় কৃষক ও বিক্রেতাদের সাথে এবং তাদের পরিচিত ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করে অনলাইন মার্কেট সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তাদের সকলকে আশ্বস্ত করা হয় এবং দ্রুততার সাথে একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হয়। এটি হলো: www.tarmuzbazar.com
গতকাল অনলাইনভিত্তিক এ বাজার চালু করা হয়েছে, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ছাড়াই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিতভাবে বাজার পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে। গত কয়েকদিনের কেনাবেচা যেখানে প্রায় শূন্য ছিলো, সেখানে পূর্বেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করায় কাল প্রথম দিনেই ৩৮ টি বেচাকেনা হয়েছে, যার মাধ্যমে মোট ৯৯,১০৬ টি বাঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন করেই প্রযুক্তিনির্ভর এ উদ্যোগের ফলে চাষীদের হারিয়ে যাওয়া হাসি যেমন ফিরে আসছে তেমনি সমৃদ্ধশালী হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল বলে মনে করেন অনেকে। এই সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এস এম মাহফুজুর রহমান। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক জনাব শাহিদা সুলতানাকে।
লাইটডেস্ক