শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকের লভ্যাংশ বিতরণে বাধা নেই

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ জুন, ২০২০

 

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ বিতরণের ওপর জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ২০১৯ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করতে পারবে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো।

রোববার (৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপরভিশন থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করা হয়।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিনিয়োগকারীদের বিষয় বিবেচনা করে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের সুযোগ দাবি করায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকতর স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে শুধুমাত্র ব্যক্তি শ্রেণীর (স্থানীয় ও বিদেশি) বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপযুক্ত সার্কুলার এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের পূর্বে
বিতরণ করা যাবে।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এর আগে চলতি বছরের ১১ মে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে শীর্ষ চাপ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে; তা বাস্তবায়নে কার্যকর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বন্টন না করে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বাজার বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।

ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সার্বিকভাবে বিবেচনা করে ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ দেয়ার নতুন নীতিমালা জারি করেছে ব্যাংকটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি নূন্যতম, সে পরিমাণ মূলধন হিসেবে রাখতে হয়। এর বাইরে আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় (কনজারভেশন বাফার) হিসেবে ব্যাংকগুলোকে ২০১৬ সাল থেকে অতিরিক্ত মূলধন রাখতে হচ্ছে।

গত ডিসেম্বর শেষে আপৎকালীন সঞ্চয়সহ প্রতিটি ব্যাংকের মূলধন সংরক্ষণের কথা সাড়ে ১২ শতাংশ। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোতে মূলধন নির্ধারিত সীমার বেশি থাকলেও সরকারি ব্যাংকের প্রভাবে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের মূলধন সংরক্ষণের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশে।

ব্যাংকের ডিভিডেন্ট ঘোষণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা হলো ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০১৯ সালে মূলধন সংরক্ষণে কোনো সুবিধা না নিয়ে যে সব ব্যাংক আড়াই শতাংশ আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারভেশন বাফার) কমপক্ষে সাড়ে ১২ শতাংশ বা তারও বেশি মূলধন সংরক্ষণ করেছে ওই সব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

লাইট নিউজ/আই

 

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD