ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় আজ বৃহস্পতিবার আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে আজ ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
এদিকে জেলার সব দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। ৮৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর জন্য শিশু খাদ্য, শুকনো খাবার, সুপেয় পানিসহ জরুরি ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলায় সাতক্ষীরা প্রায় ৭০০ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ রয়েছে। এই মধ্যে ৫ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জিও ব্যাগ, ট্রলারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। দানার গতিপথ ভারতের দিকেই এগুচ্ছে। ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব সাতক্ষীরা অঞ্চলে ফেলবে না, তবে ঝড়ো বাতাস বইবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাতাসের গতিপথ যে কোনো মুহূর্তে ঘুরতে পারে বিধায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। একই সঙ্গে ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।