গত বেশ কিছু দিন ধরে সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি উভয়দেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। ভারতীয় সেনাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে চীনা সেনারা ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ে বলেও স্বীকার করে নয়াদিল্লি।
সবমিলিয়ে চীন-ভারত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ পর্যায়ে চলে যায় যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন। যদিও দুই দেশই সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
এই অবস্থার মধ্যেই গতকাল শনিবার লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কাছে ভারত ও চীনের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের এ বৈঠকে লাদাখের চলমান অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। চার ঘণ্টার বৈঠকে কিছু ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই ইস্যুতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি পেশ করা হয় যে, চীনা সেনা যেন তাদের পুরনো অবস্থানে ফিরে যায়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চীন যেন সেনা সরিয়ে নেয়।
তবে জবাবে চীন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারত কারাকোরাম পাসের কাছে পাকা রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করলেই সেনা সরানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবে বেইজিং। আর রাস্তা তৈরি বন্ধ না হলে সেনা সরানো হবে না। তার মানে, বৈঠকে আগের অচলাবস্থাই রয়ে গেল।
তবে সম্ভাব্য সমাধানের নিমিত্তে দুই পক্ষই এদিন অনেকগুলো বিকল্প উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে। সেদিক থেকে গতকালের আলোচনাকে ইতিবাচক মনে করছে ভারত।
লাইট নিউজ/আই