করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট আটজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।
মরহুমের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ রহমান সবুজ বলেন, বাবা বেশ কয়েকদিন যাবৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজগর আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে তার জানাজা নামাজ শেষে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাংগরাবাজারে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান একজন মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ৩৫১নং কক্ষে বসতেন তিনি।
সেগুনবাগিচায় বসবাস করতেন তিনি। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তার রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গুলশান সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট (করোনার উপসর্গ) নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এনএলএফ ল’ইয়ার্স সলিডারিটির সদস্য ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান গনি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তিনি ৩ কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মোহাম্মদ ওসমান গনি তোপখানার সিটি ভিউ ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে ইসলাম বক্স ভূঁইয়া বাড়ি (নতুন বাড়ি বিদ্যানিকেতন)। লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
লাইট নিউজ