বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

ট্রেনে আম পরিবহনে লাভ দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৬ জুন, ২০২০

আম-লিচু রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রা শুরু করেছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। তবে দুই জেলার আম ব্যবসায়ীদের মতে, এই সেবায় মিলবে না খুব বেশি সুফল। কারণ স্টেশনে আম নেয়া, ট্রেনে উঠানো-নামানো, সময়মতো ভোক্তার গন্তব্যে পৌঁছানোর ঝক্কিসহ রয়েছে কুলি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এমন বাস্তবতায় ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সড়কপথের পরিবহন ব্যয় কমালে, লাভবান হবে আম সংশ্লিষ্টরা।

পরিপক্ব আমে ভরা উত্তরাঞ্চরের বাগানগুলো। যদিও করোনাকালে ক্রেতা স্বল্পতায় চাঙ্গা হচ্ছে না বাজার। এমন পরিস্থিতিতে ৫ জুন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী হয়ে ঢাকা রুটে চালু হয়েছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। নামমাত্র খরচে ৬টি মালবাহী বগিতে পরিবহন করা হবে আমসহ কৃষিপণ্য।

আটটি স্টেশনে ব্যবসায়ীরা উঠাতে পারবেন তাদের পণ্য। ব্যবসায়ীদের কাছে ট্রেনের এ পরিবহনকে আরো আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমাঞ্চল রেল নিচ্ছে আরো উদ্যোগ।

পশ্চিমাঞ্চল রেল মহাব্যবস্থাপক মিহির কন্তিগুহ বলেন, সঠিক সময় বাজার ধরতে পারাটা কৃষকদের প্রাধান্য। আমরাও বিষয়টাকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।

বাগান থেকে স্টেশন। ট্রেনে উঠানো-নামানো। কুলি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম। তারপর আবারো পরিবহনে তুলে ভোক্তার গন্তব্যে, এমন টানা-হেঁচড়ায় আম নষ্ট হবার শঙ্কা করছেন পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। তাই সড়ক পথকেই শ্রেয় মনে করছেন তারা।

একজন বলেন, ‘একবার মাল উঠানো হবে একবার নামানো হবে। এতে করে আম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমের টানাটানিতে মালের গুণগততমান ঠিক থাকবে না।’

বাংলাদেশ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, ট্রেনের মাধ্যমে পরিবহন আমের উৎপাদক ও বিপণন প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

আর রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক মো: জাকির হোসেনের অভিমত, ট্রেনে আম পরিবহনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের দেয়া তথ্য মতে, প্রতি বছর রাজশাহী থেকে প্রায় ৭’শ কোটি টাকা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৫’শ কোটি টাকার আমের বেচাকেনা হয়।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD