বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

কাতারের বিমানঘাঁটি থেকে ‘উড়োজাহাজ’ সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

লাইটনিউজ রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি থেকে বহু উড়োজাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে কিছুটা বাইরে অবস্থিত এই সামরিক ঘাঁটি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কতা জারি করেছে। এতে তাদের কর্মীদের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে প্রবেশে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

বুধবার প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির তোলা একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, ঘাঁটির টারমাকে (উড্ডয়ন ও অবতরণ এলাকা) যেসব যুদ্ধবিমান, পরিবহন উড়োজাহাজ ও ড্রোন সাধারণত পার্ক করা থাকে, সেগুলোর বেশিরভাগই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাধারণত এই ঘাঁটিতে একাধিক সি-১৭ পরিবহন বিমান, এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও গোয়েন্দা ড্রোন দেখা যায়।

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। এর আগে বাহরাইনে ৫ম নৌবহরের ঘাঁটি থেকেও একই ধরনের উড়োজাহাজ ও নৌ-জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বিমান ও জাহাজ স্থানান্তর মার্কিন বাহিনীকে রক্ষা করার পরিকল্পনার অংশ। তবে কতগুলো বিমান বা জাহাজ স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং কোথায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি সামরিক কৌশল- যার মাধ্যমে যুদ্ধ বা হামলার ঝুঁকি থাকলে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

তারা আরও বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত না হলেও এর ঘাঁটি ও সেনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ধরনের উড়োজাহাজ সরানোর ঘটনা বড় ধরনের উত্তেজনার ইঙ্গিত হতে পারে।

বুধবার (১৮ জুন) হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যোগদানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, আমি এটা করতে পারি, নাও করতে পারি। কেউ জানে না, আমি কী করতে যাচ্ছি।

আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Lightnewsbd

Developer Design Host BD